top of page

যুগ খলীফার নসীহত

যারা ডাকে সাড়া দেন না সে রকম সদস্যদরকে কীভাবে সক্রিয় করা যায়, এ সম্পর্কে হুযুর আকদাসকে প্রশ্ন করা হয়।

এ বিষয়ে প্রচেষ্টা চালানাের ক্ষেত্রে একটি বিস্তারিত ও সমন্বিত রূপরেখা প্রদান করে হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) বলেন:

“আমাদের কাজ হচ্ছে সর্বদা স্মরণ করানাে এবং আমাদের সদস্যদের মনােযােগ আকর্ষণ করা। তাদের স্মরণ করিয়ে দিন যে, তারা আহমদী মুসলমান। সে হিসেবে কিছু দায়িত্ব এবং কর্তব্য আছে যা আমাদেরকে অবশ্যই পালন করতে হবে। আমাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ‘যাক্কির’ [পবিত্র কুরআন অনুসারে এর অর্থ হলাে, ক্রমাগত স্মরণ করাতে থাকো’]। মানুষকে উপদেশ প্রদান করতে এবং ক্রমাগত স্মরণ করিয়ে দিতে আমাদেরকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এটি সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ, যা মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-কে দেওয়া হয়েছে এবং এটাই সেই আদেশ, যা আমরা অবশ্যই অনুসরণ করবাে।”

হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) আরও বলেন:

“কিছু মানুষ আছেন যারা অলস হয়ে পড়েন আর তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে আলস্য কমানাে যায়। এ ধরনের লােকদেরকে কোমলতার সাথে আকৃষ্ট করা উচিত। যদি তাদের প্রতি ভালবাসার সাথে আচরণ করা হয়, তাহলে আনসারুল্লাহ্র বয়সে উপনীত হলেও তারা আপনার কর্মসূচিগুলােতে অংশগ্রহণ করা শুরু করবেন।”

huzur2.PNG
image1.PNG

যুগ খলীফার নসীহত

মজলিসে আমেলার একজন সদস্য জিজ্ঞাসা করেন যে, কোনাে ব্যক্তি কীভাবে তার নৈতিকতার উন্নতি সাধন করতে পারেন?

এর জবাবে হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) বলেন:

“সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ বলেছেন যে, মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য হলাে ইবাদত। যদি আপনারা ইবাদতের যথাযথ অধিকার আদায় করে সর্বশক্তিমান আল্লাহর ইবাদত করেন, যদি আপনারা সমস্ত শর্ত পালন করে আপনাদের দৈনিক পাঁচ ওয়াক্তের নামায আদায় করেন, আর যদি আপনারা সর্বশক্তিমান আল্লাহ্র সামনে নত হন, আর সেজদায় তাঁর নিকট আন্তরিকভাবে দোয়ায় রত হন, আর নিজেদের কৃত পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন, আর যদি আপনারা আপনাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের মঙ্গলের জন্য সর্বশক্তিমান আল্লাহর নিকট মিনতিপূর্ণ দোয়া করেন, আর যদি আপনারা নিজেদের আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য দোয়া করেন আর নিজেদের সেজদায় ক্রন্দন করেন, সেক্ষেত্রে সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ বলেন যে, তিনি আপনাদের দোয়াসমূহ কবুল করবেন। সুতরাং, নিজেদের ব্যক্তিগত উন্নতির জন্য আপনাকে অবশ্যই

সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে মিনতি করতে হবে। প্রতিটি কাজ দোয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য এবং | এটাই মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য।”

এ বছর তরবিয়ত বিভাগের পক্ষ থেকে নিম্নোক্ত ৪টি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে

 

১. নামাযে অনিয়মিত সদস্য সংখ্যা কমিয়ে আনা

২. কোরআন পাঠে অনিয়মতি সদস্য সংখ্যা কমিয়ে আনা

৩. হুজুরের খুৎবা শোনায় অনিয়মতি সদস্যের সংখ্যা কমিয়ে

৪. যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন আনসার সদস্যের সংখ্যা কমিয়ে আনা

তরবিয়তী কার্যক্রম ২০২১

সাপ্তাহিক করণীয়

  • ব্যক্তিগত (One to one) তরবিয়তী কাউন্সিলিং। সপ্তাহে নূন্যতম ১ জনকে।

  • প্রতি সপ্তাহে সকল অনাসরকে স্মরণ করানো।

    • প্রতি সপ্তাহে সকল অনাসরকে স্মরণ করানো।

    • ​খুতবা দেখায় অনিয়মিত অন্তত ৩জন এর সাথে দেখা করে অথবা ফোনে কল করে বুঝানো।

মাসিক করণীয়

  • যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন আনসারদের সাথে যোগাযোগ। মাসে নূন্যতম দুজন।

  •  প্রতি মাসের সাধারণ সভায় স্মরণ করিয়ে দিতে হবে

    • ব্যক্তিগত তরবিয়তি পয়েন্ট (মাসিক)

      • মসজিদে/নামাজ সেন্টারে/পরিবারের সাথে দিনে অন্তত এক ওয়াক্ত নামাজ আদায়

      • প্রতিদিন অর্থসহ অন্তত কোরআনের অন্তত ৩ আয়াত অধ্যয়ন

      • প্রতি সপ্তাহে পরিবারের সবাইকে নিয়ে হুজুরের খুতবা শ্রবণ

    • সন্তানদের তরবিয়তী পয়েন্ট (মাসিক)

      • মাসে অন্তত ১দিন সন্তানদের সাথে  নসীহত মূলক বৈঠক।

      • নামাজের গুরুত্ব বুঝানো জন্য

      • জামাত/মজলিসের কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত থাকার গুরুত্ব বুঝানোর জন্য

ত্রৈমাসিক করণীয়

  • স্থানীয় সাধারণ সভায়/ তরবিয়তি সেমিনার করে আনসার সদস্যদের সাথে আলোচনা করতে,

  • জানুয়ারী-মার্চ: "নামাজের গুরুত্ব"

  • এপ্রির-জুন: “নিয়মিত কোরআন পাঠের গুরুত্ব”

  • জুলাই-সেপ্টেম্বর: "যুগ খলীফার খুতবা দেখার গুরুত্ব"

  • অক্টোবর-ডিসেম্বর: মালী কুরবানির গুরুত্ব

তরবিয়তী সপ্তাহ

Tarbiyyati Week-02.png

 

# ১ম তরবিয়তী সপ্তাহ মার্চ ১৩ - ১৯ (শনি-শুক্র)

# ২য় তরবিয়তী সপ্তাহ সেপ্টেম্বর ১১ - ১৭ (শনি-শুক্র)

 

১২ মার্চ ও ১০ সেপ্টেম্বর সাধারণ সভার মাধ্যমে তরবিয়তী সপ্তাহের করণীয় সবাইকে জানিয়ে দিতে হবে এবং ব্যক্তিগত রিপোর্ট ফর্ম প্রিন্ট করে দিয়ে দিতে হবে।

 

তরবিয়তী সপ্তাহে ব্যক্তিগত তরবিয়তী টার্গেটসমূহ:

  • ১ পারা কোরআন অর্থসহ পাঠ

  • হুযুরের কাছে একটি চিঠি প্রেরন

  • প্রতিদিন সময়মত নামায আদায়

  • ৫ দিন তাহাজ্জুদ নামায আদায়

  • প্রতিদিন নূন্যতম এক ওয়াক্ত নামায পরিবারের সাথে বাজামাত আদায়

  • সপ্তাহে নূন্যতম ৩ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে বাজামাত আদায়

  • সদকা প্রদান

  • পরিবারের সবাইকে নিয়ে হুযুরের খোতবা সরাসরি শ্রবন

  • প্রতিদিন ১ ঘন্টা করে অন্তত ৫দিন এমটিএ এর প্রোগ্রাম দেখা

তরবিয়তী ভিডিও

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।

**দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আনসার ভাইদের করণীয়:**

১. জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরে থাকুন।

২. সোশ্যাল মিডিয়ায় (ফেসবুক, ইউটিউব, WhatsApp groups ইত্যাদিতে) কোনো কিছু শেয়ার করা বা সকল প্রকার পোস্ট দেওয়া থেকে নিজে বিরত থাকুন, সন্তানদেরকেও বিরত রাখুন।

৩. পরিবারের সকলকে নিয়ে সময়মত বা-জামাত নামায আদায় করুন।
- নামাজের সময় জানতে: salah.com

৪. প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর কোরআন তেলাওয়াত করুন এবং সম্ভব হলে বাসায় যেকোন ওয়াক্তি নামাজের পর পরিবারের সবাইকে নিয়ে দরসের আয়োজন করুন। এ সুযোগে যে ছেলে-মেয়েরা কোরআন পড়ায় পিছিয়ে ছিল তারাও প্রতিদিন কোরআন চর্চা করবে।
- ইয়াসারনাল কুরআন শিক্ষা ক্লাস এমটিএ:

https://youtube.com/playlist?list=PL18851497F5CF6364&si=MaoIJEIoGdopjtwD

- Al - Tarteel MTA:

https://youtube.com/playlist?list=PLAF9A6CE940C0E486&si=W6om-BdUKPvMFTHF


৫. মসীহ মাওদ (আ:) এর বই পড়ুন।
- এ মাসে পুস্তক: আমাদের শিক্ষা:

https://www.ahmadiyyabangla.org/books/amader-shikkha


৬. প্রতিদিন কমপক্ষে এক ঘন্টা এমটিএ দেখুন।
- MTA Bangla live:

https://www.youtube.com/watch?v=nVKf-Tfw5LA


৭. হুজুর (আই:) এর কাছে দেশের জন্য ও নিজের জন্য দোয়া চেয়ে চিঠি লিখুন।
- হুজুর (আই:) এর নিকট দোয়ার চিঠি পাঠানোর ইমেইল: doa@markazibangladesk.org

৮. এ সময় বেশি বেশি দোয়া, নফল নামাজ ও নফল রোজা আদায় করুন।
- দোয়ার বই:

https://www.ansarbd.org/_files/ugd/39ae48_d72da7e6c99a4b6f815bd113196ac706.pdf


৯. আমাদের জন্য যা মঙ্গল তা যেন হয়, সে জন্য দোয়া করুন।

*দেশের এই পরিস্থিতিতে প্রত্যেকে নিরাপদ থাকুন। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সন্তানদের সুস্থ, নিরাপদ রাখুন ও তাদের সুন্দর মন মানসিকতা ও আধ্যাত্মিক পরিবেশে রাখুন। আমীন।*

মহান আল্লাহ আমাদের সকলের হাফেজ, নাসের ও হাদী হোন।

ওয়াসসালাম
*সদর,*
মজলিস আনসারুল্লাহ বাংলাদেশ।

bottom of page